কৃষকেরা শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছেন। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ধান চাষী কৃষক-কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে।
তবে, কৃষক-কৃষাণীদের অভিযোগ, শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে মাঠে কাজ করতে শ্রমিকরা বেশি টাকা চাচ্ছেন। ইরি-বোরোর মৌসুমের শুরুতেই বেড়ে যাচ্ছে ধান চাষের উৎপাদন খরচ। এখন খরচ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী নেই কৃষকদের ধানের দাম। প্রতি বছর বছর উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়ে না উৎপাদিত ধানের দাম। উল্টো কমে যায় ধানের দাম। এ জন্য হতাশ কৃষক-কৃষাণীরা। লালমনিরহাট জেলার প্রধান অর্থকরি ফসল হচ্ছে ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই জেলায় এ বছর প্রায় ৮০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত মৌসুমের চেয়ে বেশি চাষাবাদ হবে, ফলনও বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় ইরি-বোরোর চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ জমি চাষ দিয়ে প্রস্তুত করছেন, কেউ বীজ তুলছেন আবার কেউ চারা লাগাচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, জমি চাষ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরি ও সেচের পানিসহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন খরচ অনুয়ায়ী ধানের দাম কম। জীবন বাঁচার তাগিদে শীত ও সব খরচকে উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধানের চাষ করছেন কৃষকরা।